পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডায়রিয়া। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোতেও আর ডায়রিয়া রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। ফলে বাড়িতেই চলছে অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসা। এদিকে ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে স্যালাইনের সঙ্কট। এদিকে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দা-সিঁড়ি থেকে শুরু করে করিডরেও রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। জানা যায়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৮০ শয্যার বিপরীতে রোগী আছেন মাত্র তিনজন। অপরদিকে হাসপাতালে ডায়রিয়ার জন্য ১০ শয্যার বিপরীতে রোগী আছেন ৯৭ জন। জেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ৮৭ জন ডায়রিয়া রোগী। এর বাইরে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২৮ জন রোগী। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক হাজার ৪৬৮ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বারান্দা-সিঁড়ি থেকে শুরু করে করিডরেও রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, বর্তমানে রোগীদের যে চাপ তাতে মজুত করা ওষুধ এবং স্যালাইন দিয়ে আর দুই-তিনদিন সেবা দেয়া সম্ভব হবে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সমন্বয়ের কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে ওষুধ ও স্যালাইন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেস্টা চলছে। পাশপাশি ঢাকা থেকেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ওষুধ এবং স্যালাইন সংগ্রহের কথা জানান তিনি।
Leave a Reply